রোহিঙ্গাদের জন্য আরো ১০ লাখ ইউরো দেবে ইতালি - Jashore24.com

শিরোনাম

রোহিঙ্গাদের জন্য আরো ১০ লাখ ইউরো দেবে ইতালি

রোহিঙ্গাদের জন্য আরো ১০ লাখ ইউরো দেবে ইতালি

বাংলাদেশ-ইতালি সম্পর্ক উন্নয়নে একসাথে কাজ করবে দু'দেশ। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্প্রসারণ, অভিবাসী সংকট নিরসন, জনশক্তি রফতানিসহ বিভিন্ন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দু'দেশের সরকার পরস্পরকে সহযোগিতাও করবে। স্থানীয় সময় বুধবার দুপুরে ইতালির রোমে বাংলাদেশ-ইতালি প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক শেষে এই সিদ্ধান্ত আসে। বৈঠকে, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করে রোহিঙ্গাদের সহায়তায় ১০ লাখ ইউরো দেয়ার প্রতিশ্র"তি দেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী গুছেপ্পে কোঁন্তে।

ইতালি সফরের দ্বিতীয় দিন বুধবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী গুছেপ্পে কোঁতের সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইতালির প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন পালাজ্জো চিগিতে পৌঁছালে শেখ হাসিনাকে লালগালিচা সংবর্ধনা ও উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। দেয়া হয় গার্ড অব অনার।

প্রথমে একান্ত সাক্ষাত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রধানমন্ত্রী গুছেপ্পে কোঁতে। এসময়, বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নসহ মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ায় বাংলাদেশ সরকারের ভূয়শী প্রশংসা করেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী। রোহিঙ্গাদের সহায়তায় নতুন করে ১০ লাখ ইউরো দেয়ার প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি।

এসময় শেখ হাসিনা বলেন, মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিলেও, তাদের জন্য সার্বিকভাকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাংলাদেশ। রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখতে ইতালির প্রতি আহ্বান জানান তিনি। শেখ হাসিনা আরও বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশে সবচেয়ে বিনিয়োগবান্ধব নীতি অবলম্বন করছে। এই সুযোগ গ্রহণ করতে ইতালির বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বানও জানান প্রধানমন্ত্রী।

পরে দু'দেশের প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে শীর্ষ পর্যায়ের আনুষ্ঠানিক বৈঠকে বিদ্যুৎ, জ্বালানি, প্রতিরক্ষা, জনশক্তি রফতানি, বাণিজ্য সম্প্রসারণসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। এসময়, আলোচ্য খাতগুলোতে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়াতে সম্মত হয় দু'দেশ।

এর আগে প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায় ২৪ কাঠা জমিতে রোমে বাংলাদেশ দূতাবাসের পাঁচ তলা নতুন চ্যান্সেরী ভবন উদ্বোধন করেন। এসময় শেখ হাসিনা বলেন, রোমে চ্যান্সেরি ভবন নির্মাণের মাধ্যমে ইতালিতে বাংলাদেশের নিজস্ব স্থাপনার পাশাপাশি পরিচিতিও হয়েছে। এতে দেশের আর্থ-সামাজিক বিকাশে আরো বেশি অবদান রাখা সম্ভব হবে।

No comments

close