বাঘারপাড়ায় অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ হত্যার অভিযোগ
![]() |
বাঘারপাড়ায় অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ হত্যার অভিযোগ |
এদিকে, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ('খ' সার্কেল) জামাল আল নাসেরসহ জেলা গোয়েন্দা ও ডিএসবির কর্মকর্তারা।
রাজিয়ার স্বামী শহিদুল সাংবাদিকদের জানান, গত ৬ মাস আগে রাজিয়াকে বিয়ে করে সে। শহিদুলের এটা দ্বিতীয় বিয়ে। আগের ঘরের রাকিব নামে ৪ বছরের এক সন্তান রয়েছে শহিদুলের। বিয়ে করার পর রাজিয়াকে নিয়ে বাঘারপাড়ার খাজুরা এলাকার মামুন ব্রিকসে শ্রমিকের কাজ নেয় সে। গত সোমবার মনিরামপুর উপজেলার রসুলপুরে রাজিয়াকে নিয়ে তার বাবার বাড়িতে ছিলেন। সন্ধ্যায় স্ত্রীকে নিয়ে কর্মস্থল ইটভাটায় ফেরেন। এদিন রাত ২টার দিকে কয়েকজন লোক ভাটার লোক পরিচয়ে তার ঘরের দরজা খুলতে বলে। দরজা খোলা মাত্রই ঘরে ঢুকে তাকে মারপিট শুরু করে। এক সুযোগে সে দৌড়ে পাশের মাঠে পালিয়ে যায়। এর ২ ঘণ্টার পর সে ভাটার নৈশপ্রহরীকে নিয়ে ঘরের দিকে গিয়ে দেখে তার স্ত্রীর বিবস্ত্র নিথর দেহ পড়ে আছে। দ্রুত ভাটার মালিক মামুনকে জানালে সে পুলিশকে খবর দেয়।
তিনি আরো জানান, সম্প্রতি একটি ভাটার পার্শ্ববর্তী তৈলকুপ গ্রামে একটি মেয়েলি ঘটনার প্রতিবাদ করায় তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ১৫/১৬ জন লোক এসে এ হামলা চালায়। সে পালিয়ে যাওয়ায় দুর্বৃত্তরা তার ২ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে। শহিদুলের এ বক্তব্য সঠিক কি-না তা তদন্ত করছে পুলিশ।
ইটভাটার নৈশপ্রহরী আবু তাহের বিশ্বাস বলেন, সোমবার রাত ৪টার দিকে কাদা-পানি মাখা অবস্থায় শহিদ ভাটার অফিসে এসে আমাকে ডাকে। শহিদের সাথে গিয়ে দেখি তার স্ত্রীর বিবস্ত্র লাশ ঘরের সামনে পড়ে রয়েছে। আমি সাথে ভাটার মালিককে ফোন করে বিষয়টি জানাই।
খাজুরা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই জুম্মান খান জানান, ভাটার মালিকের ফোন পেয়ে ভোর ৫টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছান। এ সময় ভাটার পশ্চিমে ঝুঁপড়ি ঘরের সামনে মাটিতে ওই গৃহবধূর লাশ পাওয়া যায়। নিহত গৃহবধূর স্বামী শহিদকে জখম অবস্থায় লাশের পাশে পাওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে শহিদকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। লাশের সারা শরীরে ব্লেড দিয়ে কাটা ও ইটের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে যোগ করেন এসআই জুম্মান খান।
বাঘারপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আল মামুন জানান, গৃহবধূর স্বামী যশোরের আলোচিত চুন্নু হত্যা মামলার প্রধান আসামি। দীর্ঘদিন ভারতে পালিয়ে থাকার পর গত ১ বছর আগে দেশে ফিরে বিভিন্ন ইটভাটায় কাজ করত। এলাকায় তার প্রতিপক্ষ রয়েছে। তিনি আরো বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
সূত্র: কালের কন্ঠ
No comments